ব্যাপকভাবে সফল ওপেক্স শাটডাউন একটি দুঃখজনক ব্যর্থতা, আনিসুর রহমান সিনহা রপ্তানিমুখী পোশাক
খাতের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা। ওপেক্স এবং সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ, তার নিজস্ব কোম্পানি,
একসময় দেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক ছিল। আশির দশকে যাত্রা শুরু করা এই কোম্পানির কর্মী ছিল
৪৫ হাজার। হাজার কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু এখন তা শুধুই অতীত। বছরের পর
বছর অসুস্থ থাকার পর গত সপ্তাহে ওপেক্স ও সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে
কাঁচপুরে তাদের সব কারখানা বন্ধ করে দেয়।ওপেক্স ও সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) বনিজ
আলী স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয়েছে যে, ওপেক্স এবং সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের মালিক ২০১২
থেকে কাঞ্চপুরের সমস্ত কারখানায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ঋণ ও জমি বিক্রি করে
বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচ দিয়ে কারখানা চালান। কিন্তু করোনা মহামারীতে ক্রয় ক্ষমতার অভাব ছিল।
আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:amarjobs.xyz
ব্যাপকভাবে সফল ওপেক্স শাটডাউন একটি দুঃখজনক ব্যর্থতা
তা ছাড়া শ্রমিক-কর্মচারীদের বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা কম এবং সময়ে সময়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধের কারণে কারখানার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় মালিকের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে কারখানা চালানো আর সম্ভব নয়।নোটিশে বলা হয়েছে যে মালিকের কারখানা চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক উপায় বা ক্ষমতা নেই। ১৯ অক্টোবর থেকে ইউনিটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বেতন বকেয়া সহ বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে, শ্রম মন্ত্রণালয় বা শ্রম বিভাগ, বিজিএমইএ, শ্রম প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হবে।আনিসুর রহমান ১৯৮৪ সালে একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। তার অপেক্স এবং সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুরে একটি বড় বস্ত্র ও পোশাক উৎপাদন কমপ্লেক্স তৈরি করে। শার্ট, সোয়েটার, ডেনিম, নিটওয়্যার ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছিল সেখানে।
৪৩ একর জমির উপর নির্মিত কমপ্লেক্সটি
এশিয়ার বৃহত্তম টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস কমপ্লেক্স হিসাবেও স্বীকৃত।যাইহোক, পরে কমপ্লেক্সে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ১৩-১৪ হাজারে নেমে আসে।কাঁচপুর শাখার সকল পোশাক কারখানা ও ওয়াশিং প্ল্যান্ট বন্ধের নোটিশের অনুলিপি বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর সভাপতিদের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কারখানা অধিদপ্তর এবং অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংস্থা পরিদর্শন, শ্রম বিভাগ। টেক্সটাইল গ্রুপ।বিষয়টি নিশ্চিত করে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, আনিসুর রহমান সিনহা এবং তার প্রতিষ্ঠিত ওপেক্স এবং সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপ আজকের বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের বিকাশে অনেক অবদান রেখেছে। ফলে অপেক্সের মতো একটি কারখানা হারানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক।মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দলটি বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তার মধ্যে একটি ছিল যে দেশে সর্বাধিক
সুযোগ -সুবিধা দেওয়ার পরও একদল শ্রমিক শ্রমিকদের আরও বেশি দাবিতে উস্কে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত। উৎপাদন ব্যাহত হতো। আবার কারখানা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সেগুলো ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারেননি। মূলত অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ওপেক্স এবং সিনহা টেক্সটাইল গ্রুপের কাঞ্চপুর শাখার শ্রমিকদের বকেয়া ও ক্ষতিপূরণ দিতে ৪৫-৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আনিসুর রহমান সিনহা জমি বিক্রি করে শ্রমিকদের দেনা মেটানোর চেষ্টা করছেন।প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে এ শিল্প উচ্চ মূল্য সংযোজিত পণ্যের দিকে যাচ্ছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করছে, যা কোভিড-১৯–এর প্রভাব বিবেচনায় আরও জরুরি হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ বিনিয়োগ অন্যদের সমৃদ্ধ বাজারের দিকে যেতে এবং প্রতিযোগিতা মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে কাজ করবে।’
Post a Comment