দেশেই তৈরি হচ্ছে শাওমির ফোন, আঠা দিয়ে স্মার্টফোনের সামনে ডিসপ্লে সংযুক্ত করে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।
সেই আঠা শুকানোর জন্য তিন ঘণ্টা রেখে দেওয়া হচ্ছে। তারপর মাদারবোর্ড, ব্যাটারি, ক্যামেরা,
অডিও সিস্টেম ইত্যাদি একে একে যোগ করা হয়। ক্যামেরা, অডিও এবং নেটওয়ার্কিং এর মতো বিষয়গুলি কর্মীদের
পাশাপাশি যন্ত্রগুলির দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অবশেষে, চার্জিং মোডে, স্মার্টফোনটি
চেক করা হয় এবং আট ঘন্টার জন্য আবার সাজানো হয়।গত সোমবার গাজীপুরের ভোগড়ায় চাইনিজ ব্র্যান্ড
শাওমির স্মার্টফোন কারখানায় এমন কাজ দেখা গেছে। শাওমির এ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্মার্টফোন
আগামী মাসে বাজারে আসবে বলে ব্র্যান্ডের নির্বাহীরা জানিয়েছেন।দেশে স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি স্থাপনের
তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল শাওমি।
আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:amarjobs.xyz
দেশেই তৈরি হচ্ছে শাওমির ফোন
চীনারা তাদের অংশীদার ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সাথে ব্র্যান্ডের জন্য স্মার্টফোন যুক্ত করবে। শাওমি বাংলাদেশ গাজীপুরের ভোগড়ায় ৫৫,০০০ বর্গফুট কারখানায় বছরে ৩ মিলিয়ন স্মার্টফোন তৈরি করবে। তবে বর্তমানে আট হাজার শিফটে বা শিফটে দুই হাজার স্মার্টফোন তৈরি হচ্ছে। এটি মাসে ৫০ হাজার স্মার্টফোন তৈরি করবে। আগামী জানুয়ারিতে নতুন লাইন চালু হলে স্মার্টফোনের উৎপাদন আরও বাড়বে।শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভারত, চীন ও ভিয়েতনামে যে মানের স্মার্টফোন উৎপাদিত হয় বাংলাদেশের কারখানাগুলোতেও একই মানের স্মার্টফোন তৈরি করা হবে। এ জন্য ধাপে ধাপে বিদেশে এক কোটি মার্কিন ডলার বা ৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন কারখানা এক হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। যদিও বর্তমানে ২৮০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
নির্ধারিত নিরাপত্তা পোশাক পরে এবং
আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়ার পরই কারখানায় প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়। ভেতরে ঢুকতেই দেখি নারী-পুরুষ শ্রমিকরা নীরবে কাজ করছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ একদিকে উৎপাদন লাইনে প্রবেশ করছে। বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে হাতের মুঠোয় শেষে প্যাকেট বা মোড়ক হিসেবে স্মার্টফোন বেরিয়ে আসছে। সমস্ত ধাপ সম্পন্ন করতে প্রায় ১৯-২০ ঘন্টা সময় লাগে।বর্তমানে দেশে কয়েক ডজন মোবাইল ফোন একত্রিত করার কারখানা গড়ে উঠেছে। ওয়ালটন দেশের প্রথম মোবাইল ফোন কারখানা। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের কারখানায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে। একই বছরের জুনে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড স্যামসাং ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন যুক্ত করা শুরু করে। তিন মাস পর এডিসন গ্রুপের সিম্ফনি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের কারখানা উদ্বোধন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ভিভো, অপো, রিয়েলম, টেকনো, আইটেল, ইনফিনিক্স, ফাইভস্টার এবং নোকিয়া কারখানা তৈরি করেছে।
সরকারের নীতিগত সহায়তার কারণে দেশে
একের পর এক মোবাইল ফোন তৈরি বা অ্যাসেম্বলি কারখানা গড়ে উঠছে। বর্তমানে স্মার্টফোন আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশ শুল্ক ও কর দিতে হয়। যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ও কর প্রায় ১৮ শতাংশ।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শাওমির স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি কারখানার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুব্রত রায় এবং শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শাওমির কারখানার উদ্বোধনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শুধু স্মার্টফোন নয়, বাংলাদেশকে সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করুন। এখান থেকে রপ্তানি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ‘
Post a Comment